কিশোরীকে ছয় মাস ধরে টানা ৪০০ জন মিলে ধর্ষণ!

প্রথমে শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে; কিন্তু বাস্তবেই ঘটেছে এমন শিহরণ জাগানো অপরাধের ঘটনা। ৪০০ জন মিলে এক নাবালিকাকে(কিশোর বয়সে বিবাহিত) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি কিশোরিটি পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে গেলে  এক পুলিশ সদস্যই তাকে যৌন হেনস্থা করে।

ভারতের মহারাষ্ট্রের বিড জেলায় এই ঘটনা ঘটে।

সেই নাবালিকা কন্যাকে ছয় মাস ধরে টানা ধর্ষণ করে ৪০০ জন। টানা ধর্ষণের শিকার সেই মেয়েটি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে সেই পুলিশ কর্তার কাছেই সে আবারও যৌন হেনস্থার স্বীকার হয়। কিন্তু শত বাধা অতিক্রম করে সেই মেয়েটি পুলিশে অভিযোগ করে এমনটাই জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার রাজা রামাস্বামী।

এখন মেয়েটি ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ধর্ষণের এই ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্য ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।

যৌন হেনস্থার স্বীকার মেয়েটি তার সাথে ঘটে যাওয়া সেই নেক্কারজনক ঘটনার কথা জানিয়ে বলেন, বছর দুয়েক আগেই আমার মা মারা যায়। আট মাস আগে তার বাবা তার বিয়ে দিয়ে দেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে প্রায়শই মারধর করতো। শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতো তার ওপরে।

শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার থেকে রেহায় পেতে আমি বাবার বাড়িতে পালিয়ে আসি। কিন্তু আমার বাবা আমাকে আর ঘরে ফেরত নেয়নি। উপায় না দেখে আমি বিড জেলার আম্বাজোগাই বাস স্ট্যান্ডে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করি। সেখান থেকেই আমার জীবনে নেমে আসে এই নরকের জীবন!

দেশটির শিশু ওয়েলফেয়ার কমিটিতে দেওয়া বিবৃতিতে মেয়েটি জানিয়েছে, আমি বহু মানুষের দ্বারা শোষিত হয়েছি। আমি আম্বাজোগাই পুলিশ স্টেশনে একাধিকবার অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছি, কিন্তু অভিযুক্তদের ধরার বদলে আমাকেই হেনস্তা করে এক পুলিশ।

দেশটির রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, মামলাটির তদন্ত চলছে। পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানায়।

সূত্র : ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই ও নিউজ১৮।