লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি

প্রতিনিধি: টানা বৃষ্টির ও নোয়াখালী থেকে পানি প্রবেশ করার কারণে লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির কোন উন্নতি নেই এক সপ্তাহ ধরে। আশ্রয়ের খোঁজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটছেন বানভাসীরা। সময় যত যাচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হচ্ছে।নতুন কিরে প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। আশ্রয় সংকটের পাশাপাশি বানভাসীরা ভুগছেন ওষুধ, সুপেয় পানি ও খাবার সংকটে। সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে প্রতিদিন ত্রাণ সরবরাহ করা হলেও দুর্গম এলাকায় চরমে সংকটে রয়েছে পানিবন্ধী মানুষজন।
অন্যদিকে বন্যায় সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সারাদেশ থেকে ত্রাণ ও উদ্ধার কর্মীরা জেলার ৫টি উপজেলায় প্রবেশ করলেও এখনো অনেক এলাকার মানুুষ ত্রাণ পাচ্ছেন না।
শিশু, নারী, বৃদ্ধসহ সববয়সী মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।  এ দিকে আশ্রয়ণ কেন্দ্র গুলোতে যাওয়ার সম্ভব হচ্ছেনা। বেশীর ভাগ আশ্রয়ণ প্রবেশপথ ডুবে গেছে।
বন্যায় ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় ৫ উপজেলার ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে দিশেহারা। ১৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই হয়েছে মাত্র ২৫ হাজার মানুষের। গতকাল (২৭ আগস্ট) মঙ্গলবার রাত থেকে বজ্রপাতের সাথে ভারী বৃষ্টি হয়েছে লক্ষ্মীপুরে এতে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্রেও স্বস্তি নেই। দিনে ও রাতে বেশিভাগ সময় থাকছে না বিদ্যুৎ। এছাড়া পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নেই পর্যাপ্ত ওষুধ, বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সরবরাহ। সরকারী ভাবে বেশীরভাগ আশ্রয় কেন্দ্রে নেই সরকারী চিকিৎসক নেই ওষুধ ফলে বেসরকারী ভাবে লোকদের কাছে যেতে হয় ওষুধপত্রের জন্য।
বানভাসীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ৬৬টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন। কিন্তু বেশীর ভাগের কার্যক্রম নেই।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান জানান, নোয়াখালী পানি গুলো লক্ষ্মীপুরে প্রবেশ করছে এ ছাড়া গতকাল ও আজ বুধবার সকালে বৃষ্টির কারণে নতুন নতুন এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সবগুলো স্লুইস গেইট খুলে দেওয়া হয়েছে। জোয়ারের সময় গেইটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, ‘আমরা সিভিল সার্জনের সাথেও যোগাযোগ রেখেছি। আমাদের স্বাস্থ্যসেবাগুলো যেন অব্যাহত থাকে, সে বিষয়ে তিনি কাজ করছেন। সরকারিভাবে যে বরাদ্দ আমরা পেয়েছি, তা ইউএনওদের ভাগ করে দিচ্ছি। ইউএনওরা চাল ও শুকনো খাবার কিনে প্যাকেট করে বিভিন্ন জায়গায় বিতরণ করছে।

Shares