লক্ষ্মীপুরে শিক্ষক নির্যাতনের পর টয়লেট থেকে মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর ষ্ট্রেশন আল মুঈন ইসলামী একাডেমী  নামক একটি মাদ্রাসায় শিক্ষক নির্যাতনের পর সানিম হোসেন(৭) এক শিশুর মরদেহ প্রতিষ্ঠানের টয়লেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১৩ (মঙ্গলবার) বিকেল এ ঘটনা ঘটে। নিহত সানিম জেলার রায়পুর উপজেলার ২নং চর বংশী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড হুমায়ুন মাতাবরের পুত্র। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে নির্যাতনের ঘটনায়  শিক্ষক মাও: মাহামুদুর রহমান কে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং শিশুর মরদেহ সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের শরীরে  আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহত শিশুর পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিগত দেড় বছর আগে ৭ বছরের এই শিশুটিকে তার পিতা মাতা লক্ষ্মীপুর শহরের আল মুঈন একাডেমীতে হেফজ বিভাগে ভর্তি করে। ঘটনার দিন তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে সকালে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম সানিমকে ব্যাপক মারধর করে। পরে দুপুরে সানিম অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে পড়াশুনা ও কুরআন পড়ে। দুপুরে মাদ্রাসা সবার সাথে যোহরের নামাজ আদায় করে। সবাই খাবার খেতে গেলেও সানিম খাবার খায়নি। পরে ভবণের ৩য় তলায় টয়লেটে গলায় গামছা লাগানো মরদেহ দেখতে পায় সহকারীরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা মাদ্রাসা সামনে এসে জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে অপর শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এসে নিয়া যায়।
সানিমের পিতা হুমায়ুন মাতাবর ও মা জয়নবী বেগম ঘটনারস্থলে এসে বার বার কান্নায় মুর্ছা যান। এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এর আগে তারা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, সামিনের গায়ে ব্যাপক আঘাতের চিহ্ন আছে। তাকে হত্যা করে মরদেহ টয়লেটে রাখা হয়েছে। ৭ বছরের শিশু গলা ফাস দিতে পারেনা তাকে শিক্ষকরা নির্যাতন করে হত্যা করেছে তারা এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবী করেন।
আল মুঈন ইসলামী একাডেমী অধ্যক্ষ মাও: বশির উদ্দিন জানান, সানিম কে কেউ হত্যা করেনি সেই গলা ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। তবে সকালে মাদ্রাসার এক শিক্ষক সানিমকে মারধর করেছে বলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো: রেজাউল হক জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্ত রির্পোট অনুযায়ী পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিবে এ ঘটনায় মাহামুদুর রহমান নামে এক শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।

Shares